প্রতিদিন দুধ খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন
দুধ এমন একটি খাবার যার পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ ও প্রোটিনে দুর্দান্ত একটি উৎসব। এই দুঃখে বলা হয় সুপার ফুড ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি খাবার প্রাপ্ত বয়স্ক বৃদ্ধ সব বয়সে দুধ পান করে। উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ নেই এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারি । দূরে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি ভিটামিন ডি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফসফরাস ইত্যাদি যা শরীরের পেশিকে শক্ত ও মজবুত করে এর পাশাপাশি গিয়ে আপনার শরীরকে তো সকল রাতে সাহায্য
করেন তবে তারপরে আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।এক কাপ দুধে রয়েছ প্রোটিন ৯ গ্রাম,ক্যালসিয়াম২৯ শতাংস,ক্যালোরি ১৪৮,চর্বি ৯ গ্রাম,ভিটামিন ডি ২৬,ভিটামিন বি ১৯,পটাসিয়াম ১১,ফসফরাস ২৩ শতাংশ ইত্যাদি রয়েছে শরীরের জন্য উপকারি।পিরিয়ড তীব্র যন্ত্রণা মানসিক টেনশন দূর করে।চলুন যেনে নিই দুধের নানা উপকারিতা।
সূচিপত্র
প্রতিদিন কতটুকু দুধ পান করা উচিত।
ঘুমানোর আগে দুধ খেলে কি হয়।
দুধ খেলে যে সমস্যা হয়।
দুধ খেলে কি মোটা হয়।
সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতা।
গরু দুধ আপনার শরীরের সব পুষ্টিগুণ চাহিদা মিটিয়ে দাঁত ও হাড়ের মজবুত করে।কারণ মানবদেহের সকল প্রয়োজনীয় উপাদান গরুর দুধে পাওয়া যায় তাই শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সে দুধ পান করা প্রয়োজন মায়েদের জন্য একটি অপরিহার্য খাবার।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায় দুধের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে।যা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে ওজন রোধ করতে সাহায্য করবে।তাই আপনাকে প্রতিদিন দুধ খাওয়া প্রয়োজন।
দুধে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আর মিনারেল রয়েছে যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় আপনি প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ পান করলে শরীরের কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত পরিষ্কার করে ত্বক মসৃণ করে।
নিয়মিত দুধ পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। শরীরকে রিহাইডেট করে ডিপ্রেশনের সমস্যা দূর করে যদি এলার্জি না থাকে প্রতি রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করুন।
আমরা সকলেই জানি দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন।যেটা আপনার শরীরের মাংসপেশি গঠন হতে সাহায্য করে সারাদিনের মানসিক চাপ দূর করে তাই প্রতি রাতে দুধ পান করুন সুস্থতা বোধ করবেন।
প্রতিদিন কতটুকু দুধ পান করা উচিত
তবে আপনি মনে রাখবেন পরিমাণের তুলনায় বেশি দুধ পান করা আপনার অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে প্রয়োজনে তুলনায় কোন কিছু শরীরের জন্য বিপদজনক তাই প্রতিদিন এক হতে দুই গ্লাস দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তবে এর থেকে দুধ খেলে আপনার জন্য অনেক বিপদজনক হবে।
ঘুমানোর আগে দুধ খেলে কি হয়
আপনারা অনেকেই আছেন যে কোন সময় দুধ পান করেন।কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করলে ঘুম ভাল হয়।আবহাওয়া পরিবর্তন এর কারনে অনেকের ঠাণ্ডা লাগে তাই গরম এক গ্লাস দুধ এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ঠাণ্ডা ভাল হয়।দুধে এক প্রকার অ্যাসিড থাকে যার কারনে ঘুম ভাল হয়।আপনিও এক গ্লাস দুধ পান করতে পারেন নিয়মজার।
দুধ খেলে যে সমস্যা হয়
মানব দেহে নানা ধরনের জটিলতা থাকে সেই কারনে পাঁচ ধরনের ব্যক্তিরা নিয়মিত দুধ খেলে অসুস্থ হতে পারেন। চলুন নিচে থেকে যেনে আসি
ওজন বৃদ্ধি
অনেক সময় নিয়মিত দুধ খাওয়ার জন্য ওজন বৃদ্ধি পায় যার কারণে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
অ্যালার্জি
গবেষণায় দেখা যায় যাদের অ্যালার্জি থাকে তারা দুধ খাওয়ার পরে তাদের শরীরে চুলকানি রেস এর মত সমস্যায় করতে হয় এই ধরনের সমস্যা থাকলে কোন মতে দুধ খাওয়া উচিত নয় এমনকি সমস্যা হলে
ব্রণ এর সমস্যা
আপনাদের অনেকের ব্রণের মত সমস্যা থাকে। নিয়মিত দুধ খেলে ব্রণের সমস্যা আরও বেরে যাই বিশেষজ্ঞরা দুধকে এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দুধের পরিবর্তে দুধের তৈরি দই ছানা পনির খেতে পারেন তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বললেই চলে
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে বিপদ
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে এক প্রকার উপাদান।এটি আপনার হজম করতে পারে না সেই কারণে গ্যাস এসিডিটি,বমি,পায়খানা থেকে শুরু করে নানা জটিলতার ফাঁদে পরতে হয়।ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আশঙ্কা থাকলে ভুলেও গরুর দুধ খাবে না
দুধ খেলে কি মোটা হয়
দুধ খেলে ওজন বাড়ার এই প্রশ্নের উত্তর হল না। খুব একটা আশঙ্কা নেই ওজন বাড়ার।কুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন ওজন কমানোর সাহায্য করে দুধ।দুধ ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বরং অজন কমানোর জন্য ডায়েটে দুধ রাখলে ওজন কমানোর পাশাপাশি শারীরিক আরো অনেক সমস্যা দূর হয।ডায়েটে নিয়মিত দুধ রাখেবেন।
সকালে দুধ খাওয়ার উপকারিতাক
দুধ হলো সর্বগুণ সম্পন্ন ও পুষ্টিকর একটি খাবারের মধ্যে একটি খাবার।দুধে থাকা ক্যালসিয়াম,ভিটামিন ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস রয়েছে যা আপনার শরীরের মাংসপেশি হাড় মজবুত করে।সারাদিন আপনার মানুষিক শান্তি বজাই রাখবে।তাই আপনার প্রতিদিন সকালে খাবারের পর এক গ্লাস দুধ খাওয়া উচিত।
শেষ কথা
প্রোটিনের উৎস দুটো দুই ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায় এক ক্যাসিন এবং অপরটির রুই প্রোটিন এবং দুটি হলো উচ্চ মানের প্রোটিন গবেষণায় দেখা গেছে বুধবার বুদ্ধ জাতীয় খাবার রোগ প্রতিরোধ এর পাশাপাশি অষ্টিওরোসিক রোধ করে একসাথে ফ্যাকচারের ঝুঁকি কমএর।নারীরা অষ্টিওরোসিক সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে অনেক উপকৃত হবেন। এখানে দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।আপনাদের কাছে যদি লেখাটি ভালো লাগে তবে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আর আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url